কাজী ও খাঁকি বংশের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২৫
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই বংশের লোকজনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত পান্না মোল্লা (৪৫) একই এলাকার মৃত তৈয়ব মোল্লার ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় খাঁকি ও কাজী বংশের লোকেদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। যার এক পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় লায়েক কাজী ও অন্য পক্ষে শাহজাহান খাঁকি।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মোল্লাহাট থানার উপপরিদর্শক মাজাহার, বিধান ও মামুন এবং পুলিশ কনস্টেবল গোপাল, হাফিজুর ও সঞ্জয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় খাঁকি ও কাজী বংশের বিরোধ বেশ পুরোনো। সেই বিরোধের জেরে গতকাল বিকেলে মোল্লারকুল হাটে কাজী বংশের দুই সমর্থকের সঙ্গে খাঁকি বংশের সমর্থকদের কথা–কাটাকাটি হয়। পরে তাঁরা আলাদাভাবে ঢাল-সড়কি, ইটপাটকেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দেশীয় অস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যে এই দুই পক্ষই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে অতর্কিত হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থলে লায়েক কাজী গ্রুপের লোক পান্না মোল্লার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
ওসি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে পুলিশও গুলি চালায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এর আগেও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছিলেন।