সুজানগরে নির্বাচনী বিরোধে হত্যার ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা
পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মোজাহার বিশ্বাস (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহিনুজ্জামানকে প্রধান করে মোট ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত মোজাহার বিশ্বাসের বাড়ি উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে। তিনি উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাবের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র গ্রামটিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ২২ জুন আল আমিন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহিনুজ্জামানের সমর্থক ছিলেন। ঘটনায় শাহিনুজ্জামানের সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হন। পরদিন ২৩ জুন সকালে তাঁরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আবদুল ওহাবের সমর্থকদের ওপর হামলা শুরু করেন। এ দিন অন্তত ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজ ও কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এতে মোজাহার বিশ্বাস গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুন সকালে তিনি মারা যান।
রানীনগর ইউনিয়নটি আমিনপুর থানার আওতাধীন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুটি হত্যাকাণ্ডই নির্বাচনী বিরোধের জেরে সংঘটিত হয়েছে। দুটি ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্ত চলছে ও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।