পাগলা মসজিদের সিন্দুকের টাকা গোনা চলছে, ৪ ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৩ কোটি টাকা

৩ মাসের মাথায় আবারও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের আটটি দানসিন্দুক খুলে মিলেছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
ফাইল ছবি

প্রায় সাড়ে ৩ মাসের মাথায় আবারও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খুলে মিলেছে রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিন্দুক খুলে শুরু হয়েছে গণনার কাজ। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন কোটি টাকা গোনা হয়েছে। রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদীতীরের ঐতিহাসিক এই মসজিদে লোহার আটটি দানসিন্দুক আছে। তিন থেকে পাঁচ মাস পরপর এই সিন্দুক খোলা হয়।

এর আগে গত ৬ মে ৮টি দানসিন্দুকে ১৯ বস্তা টাকা দিনভর গুনে পাওয়া গিয়েছিল সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। ওই সময় পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের জন্য দেরি করে পাঁচ মাস পরে দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। এবার অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু আগেভাগেই খোলা হয়েছে।

এরপরও পাওয়া গেছে রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা। গণনা শেষে এবার এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণালংকার মিলবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। মাদ্রাসার দেড় শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী, ব্যাংকের অর্ধশত স্টাফ এবং মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মিলে প্রায় আড়াই শ লোক টাকা গণনা করছেন।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অর্ধলক্ষ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই নির্মাণে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।