গলাচিপায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাদ্রাসাছাত্রীর (১০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পরিবার থানায় হত্যা মামলা করেছে। উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের একটি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে গত সোমবার সকালে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরিবারের দাবি, শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার আগে হয়তো ধর্ষণের শিকার হয়েছিল শিশুটি।
এ ঘটনায় আজ বুধবার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মো. হাসান (২২) নামের এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, সোমবার সকালে শিশুটির মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পাশে খেত থেকে মরিচ তুলতে যান। সকাল ৯টার দিকে খিদে পেলে বড় মেয়েটি (ওই মাদ্রাসাছাত্রী) খাবার খেতে বাড়িতে যায়। এ সময় মা ছোট মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে খেতে মরিচ তুলছিল। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বড় মেয়ে খাওয়া শেষ করে মরিচখেতে ফিরে না আসায় তার মা তাকে খুঁজতে বাড়িতে আসেন এবং ঘরে এসেই ঘরের আড়ার সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান মেয়েকে।
শিশুটির মা বলেন, তাঁর ছোট মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে ঘরে একা পেয়ে হয়তো ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি শুনেই তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠায়।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম খান জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। হত্যার আগে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মো. হাসান (২২) নামের এক যুবককে আজ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।