চিংড়িঘেরে বাদানুবাদ, বাজারে হামলা চালিয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
চিংড়িঘেরে মজুতকৃত লবণ বিক্রিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের মহেশখালীতে মো. সোহেল (৩০) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কালামিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে আরও তিনজন গুরুতর আহত হন।
মো. সোহেল কুতুবজোম ইউনিয়নের লালমোহাম্মদ সিকদার পাড়ার রাজা মিয়ার ছেলে। সোহেলের পরিবার ও মহেশখালী থানা-পুলিশের ভাষ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জব্বার বাপের কুম নামের একটি চিংড়িঘেরের মজুতকৃত লবণ বিক্রি করার জন্য উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের দৈলার পাড়ার বাসিন্দা মকছুদ মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই জালাল মিয়া কয়েকজন শ্রমিক পাঠান। সেখানে মোহাম্মদ আনসার নামের এক ব্যক্তি শ্রমিকদের লবণ বিক্রি করতে বাধা দেন। এ নিয়ে আনসারের সঙ্গে শ্রমিকদের কথা–কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় কালামিয়া বাজারে মো. সোহেলের দর্জির দোকানে বসা মকছুদ মিয়া (৩৫), জালাল মিয়া (৩২) ও আলি মিয়ার (৫০) ওপর হামলা চালায় আনসারের লোকজন। হামলায় তাঁরা তিনজনসহ সোহেল মিয়া গুরুতর আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. সোহেল মারা যান। বাকিরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শেখ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে চারজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তিনজনের মধ্যে মকছুদ মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই জালাল মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে। তবে এখনো থানায় কোনো মামলা করেননি কেউ।