মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা: গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত তিন আসামি পাথরঘাটায় গ্রেপ্তার
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত তিন আসামিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন)। আজ সোমবার সকালে উপজেলার চরদুয়ানী এলাকার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করে র্যাব–৪–এর একটি দল। স্থানীয় তিন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার ঘটনা হওয়া মামলায় তাঁরা গ্রেপ্তার হলেন।
র্যাব-৪–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ গ্রামের ফজলুল হক খান ওরফে ফজলু খলিফা (৬৯), একই গ্রামের ইউসুফ আলী ওরফে ইউসুফ মুন্সী (৭৪) ও ওই একই ইউনিয়নের ছোট টেংরা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (৬৮)।
পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাকের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রয়েছে। মামলাটিতে এর আগে আবদুর রাজ্জাকের ছোট ভাই আবদুল মান্নান গ্রেপ্তার হন। তিনি পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক কমান্ডার। তবে আবদুল মান্নানের নাম এখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটার তিন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটির বাদী মিজানুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান এবং প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণধর মিস্ত্রি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনহর মিস্ত্রি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি মামলাটি করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আবদুল মান্নান হাওলাদারকে। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, সুলতান আহমদ, ফজলুল হক খান, ইউসুফ আলী, আবদুর রাজ্জাক ও হযরত আলী। তাঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই তিন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৭ সালে মামলা করার পর প্রধান আসামি আবদুল মান্নান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় জারি করায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।