ক্যাম্পাস ছাড়লেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে এখনো তালা ঝুলছে। এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে ক্যাম্পাসের বাসা থেকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় গেছেন উপাচার্য।
উপাচার্যের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি ক্যাম্পাস ছাড়লেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, নিয়মিত ছুটির অংশ হিসাবে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত ছুটি নিয়ে পারিবারিক কাজে ঢাকা গেছেন উপাচার্য। ৪ মার্চ তাঁর কর্মস্থলে যোগদান করার কথা আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মাহবুবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে উপাচার্যের কার্যালয়ে লাগানো তালা এখনো (বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত) খোলা হয়নি। উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আইয়ুব আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান উপাচার্য কার্যালয়ের উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলীকে পিএস দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘ভিসি স্যার গত রাতে (বুধবার) আমাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারিনি। সকালে এসে অব্যাহতির আদেশপত্র প্রস্তুত করেছি। বুধবারের তারিখে তাঁকে অব্যাহত দেওয়ার কথা বলেছেন। কোনো কারণ জানাননি।’
কয়েক মাস আগে পিএস আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তখন তাঁর কার্যালয় ভাঙচুর ও মারধরও করেছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছিল। সে সময় আইয়ুব আলীকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তবে উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনার পর তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পতাকার স্ট্যান্ডের পাশে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপ মাইকে উচ্চ স্বরে বাজানো হয়।