দাফনের ৬ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো কিশোরের লাশ

ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে কিশোর আশিকুলের লাশ। আজ বুধবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নরহরিপুর গ্রামেছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত আশিকুল ইসলামের (১৪) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের নরহরিপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।

মরদেহ তোলার সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল ওহাব, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওয়াদুদ, নিহত আশিকুলের বাবা ফরিদুল ইসলাম ও মা আরিশা আফরোজা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও আনিসুর রহমান জানান, গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশনামা পেয়ে আশিকুল ইসলামের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

নিহত আশিকুল ইসলাম দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নরহরিপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ও আরিশা আফরোজা দম্পতির ছেলে। সে ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকার নিবরাস মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সে মায়ের সঙ্গে রামপুরা বনশ্রীর অ্যাভিনিউ সড়ক এলাকায় থাকত। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে বনশ্রীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হয় আশিকুল। ২০ জুলাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় আশিকুলের মা আরিশা আফরোজা বাদী হয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল ওহাব।

মোহাম্মদ আবদুল ওহাব প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে আজ সকালে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আশিকুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে দুপুরে মরদেহ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়েছে।