উখিয়ায় গুলি করার পর হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জামতলী এলাকায় আশ্রয়শিবিরের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এক রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প ১৫) সি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ ইয়াছিন (৩৫)। তিনি ওই আশ্রয়শিবিরের সি-১ ব্লকের আবদুল বারির ছেলে।
স্থানীয় রোহিঙ্গারা বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ইয়াছিনের বাসা থেকে তাঁকে ডেকে বের করে। এরপর চারপাশ থেকে ঘিরে তাঁকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে গুলি করলে ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে অস্ত্রধারীরা একটি হাত ও একটি পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর অস্ত্রধারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোহাম্মদ ইয়াছিন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) নেতা মৌলভী মোহাম্মদ মঞ্জুরের ভাই। জামতলীর আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প ১৫) মঞ্জুরের আধিপত্য বেশি। এ কারণে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) কোণঠাসা হয়ে পড়ে এই আশ্রয়শিবিরে। মঞ্জুরের ওপর ক্ষোভ মেটাতেই তাঁর ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় থাকা এপিবিএন-৮–এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, একদল অস্ত্রধারী হামলা চালিয়ে ওই যুবককে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চলছে।