বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় মামলার পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই দুজন হলেন বাসচালক খাইরুল ইসলাম (৩২) ও ইজিবাইকচালক মো. কবির মিয়া (৩৮)। গ্রেপ্তার খাইরুল ইসলামের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার কৃষ্ণেরচর গ্রামে। তিনি ঢাকা-দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার লেংগুড়া সড়কে মামনি পরিবহনের বাসের চালক। অন্যদিকে ইজিবাইকচালক কবির মিয়া উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে নিজ এলাকা কলমাকান্দার উদ্দেশে মামনি পরিবহনের বাসে ওঠেন ওই তরুণী। রাত তিনটার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে তাঁকে নামিয়ে দেন বাসচালকের সহযোগী। এ সময় বাস থেকে নেমে যান বাসটির চালক খাইরুল ইসলাম। সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে থাকেন ওই তরুণী। কিন্তু ওই সময় কোনো যানবাহন না থাকায় তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন বাসচালক খাইরুল। তাঁর সঙ্গে একটি ইজিবাইকে ওঠেন ওই তরুণী। পথে ইজিবাইক থামিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন তিনি। এতে সহযোগিতা করেন ইজিবাইকচালক কবির। পরে ওই তরুণীকে মাঝপথে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী গতকাল শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর থানায় বিষয়টি জানালে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত বাসচালক খাইরুল ও ইজিবাইকচালক কবিরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে মেয়েটি বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান আজ শনিবার সকালে বলেন, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। ওই তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।