তিনি ল্যাব সহকারী, চোখের চিকিৎসক সেজে দেখতেন রোগী

রাউজানে চক্ষু চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দিতেন ল্যাব সহকারী পুলক কান্তি দে। গতকাল রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাউজানের জলিল নগরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে জরিমানা করেনপ্রথম আলো

চট্টগ্রামের রাউজানে এক ল্যাব সহকারী ভুয়া চক্ষুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন দীর্ঘদিন। অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ভুয়া চক্ষু চিকিৎসককে এক লাখ টাকা অর্থ দণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা সদরের জলিল নগরের আবসার মার্কেটের দোতলায় ওই ব্যক্তির চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করে এই দণ্ড দেন ইউএনও। তাঁকে অভিযানে সহযোগিতা করেন থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় ইউএনওর সঙ্গে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন ধরও উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ভুয়া চক্ষু চিকিৎসকের নাম পুলক কান্তি দে। তিনি মূলত একজন ল্যাব সহকারী। দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারে চেম্বার খুলে চোখের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। অথচ তিনি চট্টগ্রাম নগরীর একটি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। পুলক দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তি আসলে কোনো চিকিৎসক নন। তিনি ল্যাব সহকারীর কাজ করতেন। পরে বনে যান চক্ষু চিকিৎসক। বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তাঁকে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর কোনো চিকিৎসার ডিগ্রি নেই। চট্টগ্রামের নগরের একটি চক্ষু হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। ভবিষ্যতে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আর চিকিৎসা করবেন না মর্মে মুচলেকাও নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে।