ফেনীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে আরও একটি মামলা
ফেনীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি করেন ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুরের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বাদী নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ফেনীর বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা হয়েছে।
গতকাল রাতে করা এ মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, ফেনী পৌর বিএনপির সদস্যসচিব মেজবাহ উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কপিল উদ্দিন, যুবদলের সদস্য আমান উদ্দিন, কামরুল হাসানসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাদীসহ কয়েকজন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কাজে ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর এলাকার যুবলীগ কার্যালয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা লাঠিসোঁটা, রড, রামদা, চাপাতি, পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা ৩০ থেকে ৩৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের মারধর করে। এতে কার্যালয়ের প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, যুবদলের সভাপতি-সম্পাদক ও অঙ্গসংগঠনসহ ফেনী জেলা বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে এবং অনেক অজ্ঞাতনামা নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসব রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা গায়েবি মামলা। পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গায়েবি মামলা করে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরা মাঠেই রয়েছেন এবং থাকবেন।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গতকালের মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি পুলিশ।