নৌকাকে জেতাতে যুবলীগের কমিটি, সদস্য নিক্সন চৌধুরী নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কমিটি করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। তিনি নিজেই ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ৮ ডিসেম্বর যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করতে এ কমিটি গঠন করা হয়। তিনি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। কো-চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান। সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সংগঠনটির ১৮ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ৭ নম্বর সদস্য হিসেবে আছেন নিক্সন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ী করতে ওই কমটি গঠন করা হয়েছে বলে ৮ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে চিঠিটি আজ মঙ্গলবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের টানা দুবারের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তাঁকে পরাজিত করেন। এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন নির্বাচনে নিজ আসনে নিক্সন চৌধুরীর ভূমিকা কেমন হবে, তা নিয়ে ফরিদপুরে নানা আলোচনা চলছে।
নিক্সন চৌধুরীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, দলীয় ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। ওই ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। পরপর দুবার তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিক্সন চৌধুরী এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পাওয়ায় এলাকাবাসীর দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এলাকাবাসীর প্রতি তাঁর একটা কমিটমেন্ট আছে। এই অবস্থায় পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’