নড়াইলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২, কার্যালয় ও দোকান ভাঙচুর
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের বুড়িখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির একটি কার্যালয় ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বুড়িখালি এলাকার কাওসার গাজীর ছেলে আমিনুর গাজী এবং একই এলাকার মনজু শেখের ছেলে হেকমত শেখ। তাঁরা দুজনই বিএনপির সমর্থক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িখালি এলাকায় দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জামাল হোসেন ওরফে ধলা। আর বিএনপি সমর্থকদের পক্ষটি চালান মাকসুদ শেখ নামের একজন। দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। গতকাল বিএনপি সমর্থকেরা গ্রামে বিএনপির একটি কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এ নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপি সমর্থক আমিনুর গাজী ও হেকমত শেখ গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাকসুদ শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বাজারে বিএনপির একটি অফিস করেছি। গতকাল সেটি উদ্বোধনের পর অতর্কিতভাবে ইউপি সদস্য জামাল হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বন্দুক, বোমা, গুলতি, ঢেলা ও সরকি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের একজন গুলিবিদ্ধ হন, আরেকজন হাত ও পেট কেটে গেছে। তাঁরা বিএনপির অফিস ও কয়েকটি দোকানের শাটার ভাঙচুর করেছে এবং আমাদের ছয়টি গরু নিয়ে গেছে।’
ঘটনার পর থেকে জামাল হোসেন ও তাঁর লোকজন আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় হামলার অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।