সিলেটে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ‘ধরপাকড়’ বন্ধের দাবি বিএনপি নেতাদের

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ‘ধরপাকড় ও হয়রানি’ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা। সোমবার বিকেলে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানায়।

বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. জোবায়েদুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমদ ও ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ। এ সময় বিএনপির নেতারা পুলিশ কমিশনারকে জানান, সিটি নির্বাচন সামনে রেখে ২ মে থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বিভিন্ন মামলায় আসামি করেছে। এ ছাড়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে।

সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা (বিএনপি নেতারা) আমার সঙ্গে দেখা করে কিছু বিষয় অবহিত করেছেন। আমি তাঁদের কথা শুনেছি।’

বৈঠকে বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপি প্রশাসনের প্রতিপক্ষ নয়, দলটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। অথচ পুলিশ অযথাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করছে। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্দিষ্ট থানায় না নিয়ে অন্য থানায় মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আটকে রেখে টাকাও দাবি করছে পুলিশ। প্রতি রাতেই পুলিশ এমন অহেতুক হয়রানি করছে।

বৈঠক শেষে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বিএনপির নিরীহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হয়রানি করছে। অথচ বর্তমান সরকারের অধীন সিটি নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনেই বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে দ্রুত এ ধরপাকড় বন্ধের অনুরোধ করেছি। হয়রানিমূলক কিছু করা হবে না বলে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’