খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনো লুটপাটকারী ক্ষমতায় আসতে না পারে: ফয়জুল করীম

সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত এক গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমিরছবি: প্রথম আলো

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এক লুটপাটকারীর বিদায়ের পর আর যেন কোনো লুটপাটকারী ক্ষমতায় আসতে না পারে, এটা খেয়াল রাখতে হবে। নতুন দেশকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত সৎ আদর্শবান শাসকের।

আজ মঙ্গলবার বেলা চারটায় সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিলেট মহানগরের সভাপতি মুফতি সাঈদ আহমদ।

পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দাবিগুলো হলো, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার; দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা; সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া এবং ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামি সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইমাদ উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিম আবরার প্রমুখ।

ফয়জুল করীম বলেন, আদর্শ নীতি ও আদর্শবান লোকদের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলেই কেবল দেশ একটি আদর্শ দেশে পরিণত হতে পারে। দুর্নীতিমুক্ত সৎ মানুষদের দেশ পরিচালনা ছাড়া কখনো দুর্নীতি-অরাজকতা দূর করা সম্ভব নয়।

এ সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিলেটে শহীদ হওয়া সাংবাদিক এ টি এম তুরাব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রৌদ্র সেনসহ সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি নজিরবিহীন ছিল উল্লেখ করে ফয়জুল করীম বলেন, সব গণহত্যা, গুম, খুন ও অন্যায়ের বিচার করতে হবে। গুম, খুন ছিল বিগত সরকারের দেশ পরিচালনার নীতি। একটি-দুটি নয়, অসংখ্য গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে তারা। লুণ্ঠন-চুরি-ডাকাতি-টাকা পাচারে তারা ছিল বিশ্বসেরা। বিদেশে তাদের একেকজনের রয়েছে শতাধিক বাড়ি। লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ছিল তারা। সীমাহীন দুর্নীতি করে দেশের সবকিছু লুটপাট করে খেয়েছে তারা। তারা ছিল দেশের ভয়ংকর শত্রু।