বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে পুকুরে সাঁতার দিতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে সাঁতার দিতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে এক পরীক্ষার্থী মারা গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাংশা উপজেলা পরিষদের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পরীক্ষার্থীর নাম সৌরভ শেখ (১৬)। সে পাংশা সরকারি জজ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সে পাংশা পৌর শহরের সত্যজিৎপুর গ্রামের আবজাল শেখের ছেলে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সৌরভের রসায়ন পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে উপজেলা পরিষদের পুকুরপাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল সে। এ সময় বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরের এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাওয়ার জন্য বাজি ধরে সৌরভ। তবে সে ভালোভাবে সাঁতার পারত না। বাজি অনুযায়ী অপর পাড়ে পৌঁছাতে পারলে তাকে এক হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে কথা হয়। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে সে পুকুরে সাঁতারের জন্য নামে। তবে বন্ধুরা সাঁতরে অপর পাড়ে পৌঁছাতে পারলেও সৌরভ পুকুরের মাঝামাঝি যাওয়ার পর তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পাংশা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। ফরিদপুরের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই নিখোঁজের প্রায় এক ঘণ্টা পর জাল দিয়ে সৌরভের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সৌরভের বন্ধু মো. আসিফ বলে, ‘আমরা কয়েকজন পুকুরপাড়ে বাদাম খাচ্ছিলাম। তখন আমাদের এক বন্ধু বলে সাঁতরে পুকুরের অপর পাড়ে কে যেতে পারবে। সৌরভ জানায় সে পারবে। কিন্তু সৌরভ ভালোভাবে সাঁতার না জানায় তাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। সৌরভ অটল থেকে বলে সে সাঁতরে পুকুর পাড়ি দিতে পারবে। তখন বলা হয়, তুই পুকুর পাড়ি দিতে পারলে এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু অর্ধেক যাওয়ার পর সে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়।’
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সৌরভ দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এই মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপমৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।