নারায়ণগঞ্জে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিএনপির মহাসড়ক অবরোধ, আটক ৩
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির তিন নেতা–কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে অবরোধের তৃতীয় দিনে মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন কম চলাচল করলেও গত দুই দিনের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে স্থানীয় গণপরিবহন গত দুই দিনের তুলনায় আজ বেশি চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মালবাহী কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকও চলাচল করছে। এই দুটি মহাসড়ক দিয়ে দেশের ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে নেতা–কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা মহাসড়কে তিনটি টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় সেখানে রেকারের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানে বিএনপির নেতা–কর্মীদের হাতে লাঠি দেখা গেছে। তবে পুলিশ আসার আগেই তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।
মামুন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধ কর্মসূচি থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টি এইচ তোফা, যুবদল নেতা রুবেল হোসেন, কর্মী দেলোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী টায়ারে আগুন দেওয়া হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. শরফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দূরপাল্লার বাস কম চলাচল করলেও স্থানীয় গণপরিবহন বেশি চলাচল করছে।
২৪ ঘণ্টায় সাত থানায় গ্রেপ্তার ২৭
এদিকে জেলার সাত থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২৭ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অবরোধ কর্মসূচিতে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই বিএনপির নেতা–কর্মী। তাঁদের নাশকতার পুরোনো ও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চাইলাউ মারমা বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের যৌথ টহল রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।