ঝালকাঠিতে আমু ও শাহজাহান ওমরসহ ১২২ জনকে আসামি করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা

আমির হোসেন আমু (বাঁয়ে) ও শাহজাহান ওমর
ফাইল ছবি

ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমরসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই দুই নেতার বিরুদ্ধে এটি প্রথম কোনো মামলা হলো।

মামলাটির বাদী হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকার (কেশব সুমন)। আজ সোমবার দুপুরে তিনি ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন, আমির হোসেন আমুর একান্ত সচিব ও ভায়রা ফখরুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ কর্মকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ১ ও ২ নম্বর আসামি আমির হোসেন আমু ও শাহজাহান ওমরের নির্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আসামিরা গুলি করেন। পরে হাতবোমা ফাটিয়ে ও লাঠিসোঁটা-জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আসামিরা শতাধিক ছাত্র–জনতাকে আহত করেন। পরে আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও আসামিরা গিয়ে তাঁদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আল মাহাবুব সুমন বলেন, আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার কপি আদালত থেকে এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি। কপি হাতে পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আমির হোসেন আমু সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪-দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র। তিনি ছয়বারের সংসদ সদস্য। শাহজাহান ওমর, বীর উত্তম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে তিনি চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন।