নান্দাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ছাত্রলীগ নেতাকে বইঠা দিয়ে মারধরের অভিযোগ
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকার সমর্থকেরা বইঠা দিয়ে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
আহত ওই নেতার নাম মো. সাদেক হোসেন ভূঁইয়া। তিনি উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। সাদেক বলেন, গতকাল বুধবার রাতে তিনি সুন্দাইল গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খানের পক্ষে পোস্টার-ব্যানার বিতরণ করছিলেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালামের সমর্থকেরা তাঁর ওপর হামলা করেন।
এ ঘটনায় সাদেক আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১৫ জনের নামে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। মারধরের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মোবারক হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় দেওয়া অভিযোগের বিবরণে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে নিষেধ করার পাশাপাশি হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি হুমকি উপেক্ষা করে প্রচারণা চালাতে গেলে তাঁকে বইঠা দিয়ে মারধর করা হয়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুন্দাইল গ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারিতে একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল প্রথম আলাকে বলেন, যে স্থানে দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়েছে, সেখানে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ময়মনসিংহ-৯ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ারুল ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা দুবার নৌকার প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হন। এবার দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এবং ঈগল প্রতীক পেয়েছেন। এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম। আবদুস সালাম ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। শুরু থেকেই সংসদ সদস্য আনোয়ারুল নৌকার প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নপত্র বাতিলের চেষ্টা করতে থাকেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা চরম ক্ষুব্ধ। নির্বাচনের মাঠে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা মারমুখী অবস্থানে আছেন।