সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কারাগারে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুর রহমান এবং পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত সাহা।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নাশকতা মামলায় ৮ অক্টোবর তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে আদালতের আদেশে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আইনজীবীর মাধ্যমে ওই দুজন পরীক্ষার রুটিনসহ জামিনের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত শুধু পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আদালত থেকে আদেশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার অমিত সাহা একটি পরীক্ষা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুজন এসেছিলেন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে একটি আদেশপত্র আসে ওই দপ্তরে। এতে ওই দুজন নেতার পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আদেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। পরিসংখ্যান ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ থেকে দুজন করে পরিদর্শক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কারাগারে যাচ্ছেন। রুটিন অনুযায়ী কারাগারে গিয়ে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের আদেশে ও উপাচার্যের অনুমতিতে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানেরাও সহযোগিতা করছেন।’
অমিত সাহা ও আশিকুর দুজনই গত ১৮ জুলাই শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রুদ্র সেন হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া অমিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ৪২৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। গত ১৭ জুলাই ছাত্রলীগ হলছাড়া হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ওই কক্ষ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে। একই হলের ৪২৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন আশিকুর। ওই কক্ষ থেকেও মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছিল।