নাটোর মহাশ্মশানে চুরি, প্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

পাহারাদারের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নাটোর মহাশ্মশানে জড়ো হন উৎসুক লোকজন। শনিবার সকালেছবি: প্রথম আলো

নাটোরের কাশিমপুর মহাশ্মশানের পাহারাদার তরুণ কুমার দাসের (৬০) হাত ও পা-বাঁধা লাশ আজ শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ মহাশ্মশানের ভোগঘরের বারান্দা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তরুণ কুমার দাস পৌর এলাকার আলাইপুর মহল্লার মৃত কালিপদ দাসের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে মহাশ্মশানের পাহারাদার ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, শ্মশান মন্দিরের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে দেখে ফেলায় দুর্বৃত্তরা তরুণ কুমারকে হত্যা করতে পারে।

সদর থানা সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১টার দিকে মহাশ্মশানের ভোগঘরের বারান্দায় তরুণ কুমারের হাত ও পা-বাঁধা লাশ পড়ে থাকতে দেখে অন্য কর্মচারীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যনারায়ণ রায় বলেন, সকালে মহাশ্মশান মন্দিরের অন্য কর্মচারী ও পাহারাদারেরা তাঁকে কল করে জানান, শ্মশানের ভোগঘরের বারান্দায় তরুণ কুমারের লাশ হাত ও পা-বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে তিনি শ্মশান কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দানবাক্স ও ভান্ডারঘরের তালা ভাঙা এবং গ্রিল কাটা। সম্ভবত তাঁকে হত্যা করে মন্দিরের টাকা ও বাসনকোসন চুরি করা হয়েছে।

নিহত তরুণের ছোট ভাই প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ২৫ বছর ধরে তাঁর ভাই রাতে শ্মশানে পাহারা দিতেন। এখানেই তিনি খাওয়াদাওয়া করতেন।

তরুণের ছেলে তপু দাস বলেন, ‘আমার বাবা নিরীহ মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। কেউ তাঁকে মারবে, এটা আমরা কোনো দিন ভাবতে পারিনি। যারা বাবাকে হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি দাবি করছি।’

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্মশানের ভান্ডার ঘরের মালামাল লুটের কিছু আলামত পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে দেখে ফেলায় তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।