নবাবগঞ্জে হামলায় আহত সাবেক কৃষক লীগ নেতার মৃত্যু
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবেক এক কৃষক লীগ নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত কৃষক লীগ নেতার নাম মো. সামাদ (৬০)। তিনি নবাবগঞ্জের বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্ট হামলায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
নিহত সামাদের ছেলে দুবাইপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবাকে যারা মেরেছে, আল্লাহ তাদের বিচার করবেন। আমার বিচারের কোনো জায়গা নেই। এলাকার মানুষই তাঁর ভালোমন্দের সাক্ষী।’
স্বজনেরা জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ৫ আগস্ট রাতে ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় দুর্বৃত্ত সামাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা লোহার রড দিয়ে সামাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালে ছিলেন।
বান্দুরা ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির বলেন, সামাদ বান্দুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। গ্রামের বাড়ি সৈয়দপুর। তিনি দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে তাঁর ওয়ার্ডের জনগণের সেবা করতেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জালাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’