উন্মুক্ত হলো চট্টগ্রামের জাতিসংঘ পার্ক, নতুন নাম ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায়ছবি: প্রথম আলো

‘জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারা দেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাঁদের অবদানের কথা জানতে পারে। ১৬ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছেন; তাঁদের মনে রাখতেই এ উদ্যোগ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেটি সব সময় মনে রাখতে পারে, সে জন্যই এখানে আসা।’

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ উদ্বোধনের সময় এ কথাগুলো বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এ সময় সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর পার্কটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

উদ্বোধনের পর এতে ঘুরে দেখা গেছে, উদ্যানে প্রবেশের জন্য দুটি প্রবেশ ফটক রাখা হয়েছে। উদ্যানের মাঝখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা। উদ্যানের দুই কোনায় দুটি অ্যাম্ফিথিয়েটার করা হয়েছে। ওয়াকওয়েজুড়ে বসানো হয়েছে ছোট ছোট বাতি। দুটি আলাদা ওয়াশ কর্নার করা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, শুরুতে উদ্যানটির ব্যবস্থাপনা গণপূর্ত বিভাগ নিজেরাই করবে।

জানা গেছে, নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ১৯৫৪ সালে পাঁচলাইশ পার্ক নামে স্থাপন করা হয় উদ্যানটি। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ব্যবস্থাপনার জন্য দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ২০০২ সালে করপোরেশন করে এটির নাম রাখে জাতিসংঘ পার্ক। এরপর ২০১৫ সালে পার্কের ১ একর জায়গায় দুটি সুইমিং পুল ও জিমনেসিয়াম নির্মাণ করে করপোরেশন। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব স্থাপনা এক দিন ব্যবহারের পরই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

২০২২ সালে ‘চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রায় ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শেষ হয়। তবে দেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটি উদ্বোধন করা যায়নি। গত বুধবার এর নাম পাল্টে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ রাখা হয়। শুক্রবার উদ্বোধনের পর এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।