সংবাদ প্রকাশের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়োগ–বাণিজ্য নিয়ে প্রতিবেদনের জেরে চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে গাজী টিভির সাংবাদিক এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর থানায় মামলাটি করেন পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন। আজ শনিবার মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে সাংবাদিক এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছয়টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। নিয়োগ নিয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে বেসরকারি গাজী টিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ে ঘুষ নিয়ে কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ করা হয়। এতে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধেও হস্তক্ষেপের অভিযোগ করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছয়টি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। ২১ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু ১০ এপ্রিল নিয়োগে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এমদাদুল হক। চাঁদা না পেয়ে সংসদ সদস্য রমেশ সেন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনের নাম জড়িয়ে ১৫ এপ্রিল মনগড়া সংবাদ প্রচার করেন এমদাদুল হক। এতে রমেশ চন্দ্র সেনেরও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সাংবাদিক এমদাদুল হক বলেন, পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। এখানে নিজস্ব মনগড়া তথ্য দেওয়া হয়নি। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।