স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ১৯ বছর পর দুজনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও অপহরণে সহায়তা করার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মাদ আবদুর রহিম এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর গ্রামের আবু বক্কর (৫৯) ও গুরুদাসপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর উত্তরপাড়ার রান্টু মিয়া (৩৯)।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, ১৯ বছর আগে সংঘটিত একটি অপহরণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। দুই আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে আছে, ২০০৫ সালের ২৫ মে দুপুরে আবু বক্কর বাড়ির অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে রান্টু মিয়ার সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে (১৬) অপহরণ করেন। ওই ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৯ জুন সদর থানায় মামলা করেন। সদর থানার উপপরিদর্শক খায়রুল আলম ওই বছরের ১৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের সেরেস্তাদার শামীম আহমেদ রায়ের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রায়ের পর আসামিদের পুলিশি হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, সাক্ষীরা সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বিচারকাজে দেরি হয়েছে।