ফরিদপুর জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী

ফরিদপুর জেলা কারাগারের প্রধান ফটক। সম্প্রতি তোলা
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বন্দী। একজনের জায়গায় থাকতে হচ্ছে তিনজনকে। এতে বন্দীরা রাতে ঘুমানো, শৌচাগার ব্যবহারসহ নানা ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জেলা কারাগার সূত্র জানায়, এ কারাগারের বন্দী রাখার ধারণক্ষমতা ৪১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৯১ ও নারী ২৪ জন। গতকাল বুধবার এখানে ১ হাজার ১৫৫ জন বন্দী ছিলেন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বন্দী রয়েছে এই কারাগারে। 

কারাগারের পদ্মা নামের একটি ছয়তলা ভবন আছে। এই ভবনেই বেশির ভাগ বন্দীকে রাখা হয়। এ ছাড়া রয়েছে মেঘনা নামে একটি দোতলা ভবন। ভবনটি অনেক পুরোনো। পুরোনো এ ভবনটির দোতলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। এ ভবনের নিচতলায় কিছু বন্দী রাখা হয়। এ ছাড়া রয়েছে একটি মহিলা ওয়ার্ড, একটি মেডিকেল ওয়ার্ড। টিনশেডের একটি ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানে কয়েদিদের রাখা হয়। কারাগারে বর্তমানে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে হাজতি ৭৪৫ জন এবং কয়েদি ৪১০ জন।

জেলা কারাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিদিন বাড়ছে বন্দীর সংখ্যা। ২৮ অক্টোবরের আগে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন নতুন বন্দী আসতেন এ কারাগারে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন আসছেন। এ সময়ে ১ দিনে ৭০ জন পর্যন্ত নতুন বন্দী এসেছেন।

জেলা ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ঝিলটুলী ও কমলাপুর মহল্লার মাঝামাঝি মুজিব সড়কের দক্ষিণ পাশে ফরিদপুর কারাগার। এ কারাগারটি স্থাপিত হয় ১৮২৫ সালে। 

ফরিদপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. তারেক কামাল বলেন, সম্প্রতি কারাগারে বন্দীর চাপ বেশি। জেল কোড অনুযায়ী একজন বন্দীর জন্য ৩৬ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ রয়েছে। সম্প্রতি হাজতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওই জায়গায় কষ্ট করে তিনজনকে রাখতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আবাসনসংকটের সমস্যা সমাধানের জন্য মেঘনা নামের ভবনটি অপসারণ করে সেখানে বহুতল  ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। ওই ভবনটি নির্মিত হলে আবাসনসংকট কমে যাবে।