রাজশাহী সমাবেশে যেতে পথে পথে বাধার অভিযোগ বিএনপির

বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা–কর্মীরা রাজশাহী নগরের হযরত শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অবস্থান নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবারছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার সারিয়াকান্দির কুতুবপুর থেকে রাজশাহী মহানগরের হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন মাদ্রাসা মাঠের দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার। প্রথমে ইজিবাইকে উপজেলা সদর, এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পরে বাসে এই পথ পাড়ি দিয়ে রাজশাহী পৌঁছাতে একজন যাত্রীর সময় লাগে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা। গতকাল বুধবার কুতুবপুর বাজার থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা করে তবিবর রহমান (৭২) এই পথ পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ১২ ঘণ্টায়।

বেলা দুইটার দিকে তিনি কুতুবপুর থেকে রওনা দেন। বগুড়া শহরে আসার পর রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের উদ্দেশে রওনা করা গাড়িবহরের একটি বাসে উঠে পড়েন। পথে পথে পুলিশের বাধা-প্রতিবন্ধকতা, আটকের হুমকি, মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, মিছিল-স্লোগানের পরও শেষ পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে গন্তব্য পৌঁছাতে পারেননি। রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী মহানগরীতে পৌঁছার আগেই পুলিশ সবাইকে নামিয়ে দিয়ে বাস আটক করে। এরপর অন্যদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে মাদ্রাসা মাঠে রওনা দেন তবিবর রহমান। দীর্ঘ পথ হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যাত্রা আর দফায় দফায় পুলিশের হেনস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন

অসুস্থ হয়ে পড়া তবিবর রহমান বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মতো পথে পথে বাধা-প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ার অভিযোগ করেছেন বগুড়া থেকে রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে রওনা দেওয়া বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। শনিবার রাজশাহী মহানগরের মাদ্রাসা মাঠে এই সমাবেশ হবে।

অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে রাজশাহী অভিমুখী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি। এর ফলে সাধারণ মানুষও চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নতুন করে থানায় থানায় ‘গায়েবি’ মামলা, গ্রেপ্তার, সমাবেশে যেতে পথে পথে বাধা এবং বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ আছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার সমাবেশ হলেও পরিবহন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে বুধবার থেকে বগুড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজশাহীতে যাওয়া শুরু করেন। পথে পথে বাস আটকের পর আজ বৃহস্পতিবার মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রাজশাহীতে রওনা দিয়েছেন অনেকে। পথে পুলিশ বাস আটকে দেওয়ায় অনেকেই হেঁটে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন। যাঁরা রাতেই রাজশাহীতে পৌঁছেছেন, তাঁদের অধিকাংশ মাদ্রাসা মাঠসংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।

রাজশাহীর গণসমাবেশে যোগ দিতে দুই দিন আগেই আসা বগুড়া সোনাতলার ৭০ বছর বয়সী সলূ প্রামানিক খোলা আকাশের নিচে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশস্থলে পৌঁছার পর বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, রাজশাহী সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছানো নেতা-কর্মীদের সিংহভাগই বগুড়া থেকে আসা। বগুড়া থেকে রাজশাহীর সমাবেশে অর্ধ লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর যোগদান করবেন।

সমাবেশকে সামনে রেখে সরকার পরিবহন সংগঠনগুলোকে দিয়ে কৌশলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বুধবার বিকেল থেকেই রাজশাহীর সমাবেশ অভিমুখে বগুড়া থেকে নেতা-কর্মীদের যোগদান শুরু হয়। আগের রাত থেকেই থানায় থানায় শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। বৃহস্পতি ও বুধবার ধুনট, শেরপুর, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও আদমদীঘি উপজেলায় ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিট থেকে আলাদাভাবে ৩০০ গাড়িবহরে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে পথে পুলিশ গাড়ি আটকে সমাবেশে আসতে বাধা দেয়। গাড়ি আটক করে থানায় নেওয়া হয়। সারা রাত নেতা-কর্মীরা ৫০-৬০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।

আরও পড়ুন

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি সারা দেশে ধারাবাহিকভাবে গণসমাবেশ করছে।

থানায় বাস আটক

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, বগুড়া থেকে নেতা-কর্মীরা বগুড়া-নাটোর-রাজশাহী এবং বগুড়া-নওগাঁ-রাজশাহী দুই রুটে রিজার্ভ বাসে রাজশাহীর সমাবেশে যোগদান করতে রওনা দেন। নাটোর হয়ে রওনা দেওয়া বাস রাজশাহীর বানেশ্বর, কাটাখালী, মোহনপুরসহ নানা স্থানে পুলিশ আটকে দেয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের যেতেও বাধা দেওয়া হয়। অন্যদিকে নওগাঁ হয়ে রওনা দেওয়া বাস আটকে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হয় বগুড়ার আদমদীঘি, নওহাটা, বায়া, বিমানবন্দর মোড়সহ নানা স্থানে বাস আটকে দেওয়া হয়।

সোনাতলার পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আবুল কাশেম (৮০) বলেন, ‘পথে পথে বাস আটকে পুলিশ নজিরবিহীন হয়রানি করেছে। পুলিশ বাস আটকে দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের আটক করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিবাদে কখনো স্লোগান দিয়েছি, কখনো রাস্তায় শুয়ে পড়েছি। শেষে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছি। হয়রানি, দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে সাড়ে চার ঘণ্টার যাত্রাপথে সময় লেগেছে ১২ ঘণ্টা।’

৩ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে রাজশাহী নগরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের ভদ্রার মোড়ে
ছবি: প্রথম আলো

সোনাতলা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম (৭০) বলেন, সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে যোগদান করতে না পারেন, এ জন্য পুলিশ ২৬ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির শীর্ষ ২৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে ‘গায়েবি’ মামলা করে। সমাবেশকে সামনে রেখে সেই মামলায় পুলিশ পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির অভিযোগ করেন, সোনাতলা উপজেলা থেকে ১০টি বাসে বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেন নেতা-কর্মীরা। আদমদীঘি থানা-পুলিশ একটি বাস আটকে থানায় নেয়। পথে পথে ৯টি বাস আটকে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদেরও যেতে বাধা এবং আটকের হুমকি দিলে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন, বিক্ষোভ করেন। শেষে নওহাটা থেকে পায়ে হেঁটে রাত তিনটার দিকে সমাবেশস্থলে যোগ দেন নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুন

জানতে চাইলে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বাসে বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এ কারণে আটক করা হয়েছে। তল্লাশির আগেই যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পালিয়েছেন।

জামিন নিয়ে ফেরার পথে গ্রেপ্তার ৩০ নেতা-কর্মী

রাজশাহীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও কাহালু থানায় আলাদাভাবে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আলাদা দুটি ককটেল হামলা ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকার বাইরে থেকে ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। বৃহস্পতিবার নতুন একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে কাহালু উপজেলা বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর নামে এবং আরও ৩০০ অজ্ঞাত আসামি করে ২০ নভেম্বর মামলা করেন কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন কাজী। পুলিশ ওই দিনই শিপন (৩৭) ও আবু তাহের (৫২) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

মহাসড়কে নছিমন–করিমন–ভটভটি চলাচল বন্ধ হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

একই দিন নন্দীগ্রাম ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর ওপর ককটেল হামলার অভিযোগ তুলে ২০ নেতা-কর্মীর নামে এবং আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত করে থানায় মামলা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ। পুলিশ ওই দিনই মনছুর রহমান (২৯) এবং আতিকুল ইসলাম (২১) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন অভিযোগ করেন, কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া দুই ‘গায়েবি’ মামলার গ্রেপ্তার চার আসামি বাদে কাহালুর ৪৮ এবং নন্দীগ্রামের ১৮ নেতা-কর্মী বুধবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া কাহালু উপজেলা বিএনপির ৪৮ নেতা-কর্মীর মধ্যে ৩০ জন হাইকোর্ট থেকে বের হয়ে একটি বাসে কল্যাণপুর রওনা দেন। বিকেলে শাহবাগ থানা-পুলিশ বাস থেকে ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করে থানায় নেন। রাতভর থানায় আটকে রাখার পর আজ দুপুরের দিকে নতুন করে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ।

আরও পড়ুন

নতুন করে গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে কাহালু পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছার রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ খ ম তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মোমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিব ইমতিয়াজ রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাহালু থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় নতুন করে কোনো মামলা হয়নি, কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। শাহবাগ থানা থেকে নতুন করে গ্রেপ্তারের বিষয়টিও তাঁদের জানানো হয়নি।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, রাজশাহীর সমাবেশকে সামনে রেখে ১৭ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বগুড়ার ১২টি থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৫২২। অজ্ঞাতনামা আসামি ৫ শতাধিক। গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৫ জন।

দাদির সঙ্গে নাটোরের সিংড়া যেতে বেরিয়েছে শিশু সুরভী খাতুন। ধর্মঘটে বাস চলছে না। দাদি তহমিনা বেগম গাড়ির খোঁজে। সুরভী ব্যাগপত্র নিয়ে বসে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা মোড়ে
ছবি: প্রথম আলো

ধর্মঘটে ভোগান্তি

ভোর থেকে বগুড়া-নাটোর-রাজশাহী, বগুড়া-নওগাঁ রুট ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকালে দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলোতে ছিল ভিড়। সকাল ১০টার দিকে শহরের শাকপালা বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বহু যাত্রী। কুষ্টিয়ার বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘দ্যাশত হইলোডা কী? আগে সরকারক কাবু করবার জন্যি হরতাল ডাকত বিরোধীরা। এহন বিরোধীদের কাবু করবার জন্যি সরকার-ই হরতাল ডাকে, আমজনতাকে কষ্ট দেয়।’

মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ তিন চাকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধ ও কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা-হয়রানির প্রতিবাদে রাজশাহী বিভাগে আজ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি।

বিএনপির সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্মঘট পূর্বনির্ধারিত ছিল। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্মঘট ডাকার ব্যাপারে কারও কোনো চাপ নেই।

আরও পড়ুন