২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দুই দিন পর একজনের মৃত্যু

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোহন মিয়া (বাঁয়ে)। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দুই দিন পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মোহন মিয়া (৬৪)। তিনি সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজর আলীর মৈশানের ছেলে। তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার জেলা প্রশাসক ও এ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্রগুলোর যাচাই-বাছাইয়ের কথা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মোহন মিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আগে থেকেই তাঁর অ্যাজমা সমস্যা ছিল। তাঁর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পরিবারের লোকজন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নিয়ে গেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, মোহন মিয়ার পেশা বলতে তেমন কিছু ছিল না। সন্ধ্যার পর উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে ধূপের ধোঁয়া দিয়ে বেড়াতেন। দোকানিরা যা দিতেন তা দিয়েই স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে সংসার চলত।

মোহন মিয়া গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত উপজেলা কালীকচ্ছ বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। শনিবার সকালে তিনি আর ঘর থেকে বের হননি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুঠোফোনে মোহন মিয়ার সঙ্গে প্রথম আলোর এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথাও হয়েছে। তখন ঠান্ডা লাগা ও অসুস্থ হওয়ার কথা জানান তিনি। বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গণসংযোগ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন।

মোহন মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৫ জানুয়ারি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যদি ওই প্রার্থীর মারা যাওয়ার বিষয়টি অফিশিয়ালি জানতে পারি, তবে তাঁর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে মতামত চাইব। এরপর বিধিসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’