বরগুনায় পরিবহন মালিক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে বাস বন্ধ
বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগীর হোসেনকে মারধরের প্রতিবাদে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ সোমবার সকালে বরগুনা কেন্দ্রীয় পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাসস্ট্যান্ডে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী মো. আল-আমিন প্রথম আলোকে বলেন, কলেজে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আজ সকালে বরগুনা বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন বাড়তি টাকা খরচ করে মোটরসাইকেলে বরিশাল যেতে হবে। সাধারণ যাত্রীদের এমন ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না।
বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, যত দিন পর্যন্ত হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে না, তত দিন পর্যন্ত এই ধর্মঘট থাকবে।
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ারকে (টুকু) শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের পক্ষে কয়েকজন গতকাল রোববার রাতে বরগুনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনের একটি ব্যানার টানাচ্ছিলেন। হঠাৎ হাত ফসকে ব্যানারটি মো. ছগীর হোসেনের মালিকানাধীন একটি বাসের ওপর পড়ে। এতে বাসের চালক ব্যানার টানাতে আসা একজনকে ধরে অফিস কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের খবর পেয়ে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে মো. ছগীর হোসেনের সঙ্গে ইমাম হাসানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমাম হাসানের লোকজন ছগীর হোসেনকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার বলেন, ‘মারধর করার বিষয়টি সঠিক নয়।’ এই বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, একটি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা বা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।