সাভারে হাত-পা বাঁধা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, পাশে পড়ে ছিল চিরকুট
ঢাকার সাভারের ভাটপাড়া মোড় এলাকায় নিজ বাসা থেকে সাবেক এক স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির হাত-পা বাঁধা এবং গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসার পর মরদেহের ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য পুলিশি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানা–পুলিশ।
ওই শিক্ষকের নাম গোলাম কিবরিয়া (৪৫)। তিনি সাভার ভাটপাড়ার মৃত শুকুর মুন্সীর ছেলে। চার ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন জানান, কিবরিয়া সাভার রেডিও কলোনির মডেল স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে টিউশনি করতেন। পাশাপাশি তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল শনিবার রাতে টিউশনি শেষে রিকশায় করে বাসায় ফেরেন গোলাম কিবরিয়া। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ভাইদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বাসার একটি কক্ষে একাই থাকতেন। আজ দুপুর ১২টার পরও কিবরিয়াকে কক্ষ থেকে বের হতে না দেখে পরিবারের সদস্যরা একই কক্ষের বিকল্প দরজা দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন, খাটের ওপর পড়ে আছে কিবরিয়ার লাশ। তাঁর দুই হাত ও দুই পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল; গলায় ছিল গামছা প্যাঁচানো। এ ছাড়া ঘরের এবং স্টিলের আলমারির জিনিসপত্র এলোমেলো করা অবস্থায় দেখতে পান।
মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা সাভার মডেল থানা–পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চিরকুটে গোলাম কিবরিয়াকে নৈতিক স্খলনের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গোলাম কিবরিয়ার ছোট ভাই আপেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পায়ে সমস্যা থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতেন না। তাই একটি নির্দিষ্ট রিকশাযোগে সব জায়গায় যাতায়াত করতেন। আজ দুপুর ১২টার পরও ঘর থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যরা কক্ষে ঢুকে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পান। ভাইকে কেন হত্যা করা হলো, তা এখনো আমরা জানি না।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।