গবেষণা উৎসবে ফুলকির শিশুদের প্রকল্প উপস্থাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটি ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উদ্যোগে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশীয় গবেষণা ও গবেষণায় ক্যারিয়ার উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রজেক্ট প্রদর্শন করে।
চট্টগ্রাম থেকে এবার একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এই আসরে অংশ নিল শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফুলকির আনন্দ বিজ্ঞান। আনন্দ বিজ্ঞানের তিন শিক্ষার্থী উৎসবে তাদের বিজ্ঞানবিষয়ক উদ্ভাবনী প্রজেক্ট উপস্থাপন করে উপস্থিত দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অষ্টম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী আসরে বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো তুলে ধরল দর্শকদের সামনে। সাফিন আল হাসান, অনিন্দ্য দাশ ও শারদ প্রত্যুষ বলের বিজ্ঞান প্রকল্প নক্ষত্রের জন্ম–মৃত্যু, সোলার ফ্যান, এসি পাওয়ার ডিটেক্টর ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর নতুন ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।
আসরে উপস্থিত ফুলকির শিক্ষক রুমকী চক্রবর্তী ও ঋতুপর্ণা দত্তের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘ফুলকির আনন্দ বিজ্ঞান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট উপস্থাপনের জন্য আয়োজকেরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম থেকে শুধু আমাদের শিক্ষার্থীরা এসেছে। তাদের প্রজেক্ট প্রশংসিত হয়েছে।’
দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বিভিন্ন পর্বে ক্যারিয়ার ও গবেষণাবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন বিজ্ঞান ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক খোন্দকার সিদ্দিক–ই–রব্বানী, ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার দাশ, অধ্যাপক অপর্না ইসলাম ও গবেষক সেঁজুতি সাহা।