মাগুরায় বিএনপির সমাবেশে আসা–যাওয়ার পথে হামলার অভিযোগ, আহত ১৫
মাগুরার শ্রীপুরে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। এ সমাবেশে আসা–যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
এ ছাড়া একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগও। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খামারপাড়া বাজারে বিএনপি ও শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি উপজেলা পরিষদের সামনে খেলার মাঠে করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। অনুমতি না পাওয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে খামারপাড়া বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে উপজেলায় প্রবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা লাঠিসোঁঠা নিয়ে অবস্থান নেন।
বিভিন্ন স্থানে তাঁদের হামলায় বিএনপির ১৫ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার আঘাতে গুরুতর আহত শ্রীকোল ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদ বিশ্বাসকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আগের দিন রাত থেকেই প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। আজ সকালে গয়েসপুর ঘাট, বড়তুলা ঘাট, দারিয়াপুর রোডের ওয়াপদা ব্রিজ, শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড, বরিশাট, আঠারোখাদা, কাজলি, গাংনালিয়া, সাইত্রিশসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গোয়ালপাড়া জোড়া ব্রিজের কাছে কয়েকজন কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি একটি আলম সাধুতে (ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান) আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
হামলার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সমাবেশের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির সমাবেশের নামে নৈরাজ্য ঠেকানো। আমরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ এবং খামারপাড়া পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছি। তবে বাসস্ট্যান্ড ছাড়া কোথাও আমাদের নেতা–কর্মী ছিল না।’
জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো. মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দল আলাদা জায়গায় সমাবেশ করেছে। তাদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। আর খামারপাড়া গোরস্তান মোড়ে একজনের ওপর হামলা হয়েছে বলে শুনেছি।’