বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় একাডেমিক কার্যক্রম শেষ হওয়া শিক্ষার্থী, অনাবাসিক শিক্ষার্থী অথবা বহিরাগত কোনো ব্যক্তির অবস্থান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ফয়সাল মাহমুদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর প্রাধ্যক্ষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বে থাকা) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। সভায় উপাচার্য হল প্রাধ্যক্ষদের এ বিষয়ে সর্বাত্মক সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া হলগুলোয় এ ধরনের কোনো শিক্ষার্থী বা বহিরাগত ব্যক্তি অবস্থান করলে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, গত শনিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। পরদিন রোববার ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছয় শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে চারজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা। ওই ঘটনার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবাসিক হলগুলোতে অছাত্র ও বহিরাগত ব্যক্তিদের অবস্থানের ব্যাপারে এই নির্দেশনা জারি করল।
এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চলার সময় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে র্যাগিং, মাদক সেবনসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আবদুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।