হালদা নদী থেকে বালু তোলায় দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে রাতের অন্ধকারে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাল্কহেড (নৌযান) ভর্তি করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালনা করা হয় অভিযান। এ সময় দুজনকে হাতেনাতে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের গণি মিয়ার ঘাটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
যে দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন মুহাম্মদ ইউসুফ ও মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। দুজনের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলায়। তাঁরা শ্রমিক হিসেবে বালু তোলায় নিয়োজিত ছিলেন। অভিযানে বালু তোলার ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হালদা নদী থেকে বালু তোলা এবং ড্রেজার ও বাল্কহেডে পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে। গতকাল দুজনকে জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হালদা নদী দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র। এখানে কার্পজাতীয় মা মাছেরা এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে একাধিকবার ডিম ছেড়ে থাকে। এ কারণে নদীতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক নৌযান চলাচল ও বালু তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। তবু প্রশাসনের চোখ ফাঁকিয়ে দিয়ে নদীটিতে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। বালু পরিবহনে নিয়োজিত নৌযানের পাখার আঘাতে নদীতে প্রায় সময় মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।