বড়লেখায় নিখোঁজের পরদিন সীমান্ত এলাকা থেকে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাথারিয়া পাহাড়ের সীমান্ত থেকে এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের এক দিন পর আজ রোববার দুপুরে গোপাল ভাগতি (৩৫) নামের ওই যুবকের লাশ পাওয়া যায়।
গোপাল স্থানীয় সমনভাগ চা-বাগানের বাসিন্দা অখিল ভাগতির ছেলে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে কীভাবে মৃত্যু ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, গোপাল বাঁশ কাটতে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সীমান্ত-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ে যান। পরে আর বাড়ি ফেরেননি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের সদস্যরা তাঁর সন্ধান পাননি। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু চা-শ্রমিক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৩৯১ ও ১৩৯২ নম্বর মূল সীমান্তখুঁটির মধ্যে শূন্য রেখার ২০০ গজ অভ্যন্তরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা গিয়ে লাশটি গোপালের বলে শনাক্ত করেন। এরপর দুপুরের দিকে বিজিবির একটি দল ও বড়লেখা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ওই সীমান্ত বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের আওতায় পড়েছে। সিলেটের বিয়ানীবাজারে অবস্থিত বিজিবির ওই ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদী হাসান বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুঠোফোন প্রথম আলোকে বলেন, গোপালের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে কিসের আঘাত, তা বোঝা যায়নি। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করলে বোঝা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ নিয়ে রওনা দিয়েছে। গহিন জঙ্গল থেকে লাশ নিয়ে পৌঁছাতে তাঁদের আরও অন্তত দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের টহলদল সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়নি। তাই কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, তা বোঝা যাচ্ছে না।