বর্ণিল আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপিত

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। আজ সোমবার ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিছবি: প্রথম আলো

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। আজ সোমবার ৩৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িতদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

হাদী চত্বর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হাদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হারুনর রশীদ খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নূরুন্নবীসহ বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় পরিচালকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমদ।

সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা দৃশ্যমান। সমসাময়িক সময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী অ্যালামনাইরা দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্বিত। এ সুনাম অর্জনের নেপথ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবারই অবদান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে সবাই যেভাবে ভূমিকা রাখছেন, তাতে অচিরেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে।

বক্তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে আজকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্পিরিট আমাদের ধরে রাখতে হবে। জুলাই বিপ্লবের আদর্শ ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে।’