গাজীপুরে কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২৩ শ্রমিক আটক
গাজীপুরে শিল্পকারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কসহ বিভিন্ন কারখানার ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করার পর আজ মঙ্গলবার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ২৩ জনকে আটক করে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পাশের চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছেন। এতে ওই সড়কে কয়েক দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা। অন্যদিকে পাশের জিরানী এলাকায় ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। আজও তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
গতকাল সোমবার বেক্সিমকো ও ডরিন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা একত্র হয়ে পাশের পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দিতে বলেন। এ নিয়ে অ্যামাজন কারখানার শ্রমিক, এলাকাবাসী, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও ডরিন কারখানার শ্রমিকেরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে পাঁচজন শ্রমিক আহত হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে অ্যামাজন নিটওয়্যার কারখানায় আগুন লাগানো হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার পোশাক কারখানাগুলোয় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে সোমবার ২০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিক আন্দোলন উসকে দিয়ে পোশাক খাতে অস্থিরতা তৈরির অভিযোগে গাজীপুর মহানগরের সারাবো, পানিশাইল, পূর্ব কলতাসুতি এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে ২৩ জনকে আটক করে আজ ভোরে কাশিমপুর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে শিল্পকারখানায় যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আজ সারা দিন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কসহ আশপাশের এলাকায় সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। পাশাপাশি ডরিনের শ্রমিকেরাও আন্দোলন করছেন। তাঁরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন।