মামলা ও বহিষ্কারাদেশে সংশোধন, একজনকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে অন্তর্ভুক্তি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা ও বহিষ্কারাদেশ থেকে এক শিক্ষার্থীর নাম প্রত্যাহার করে নতুন আরেক শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলায় আগে থাকা আসামির ক্রম পরিবর্তন করেছে প্রশাসন।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে আশুলিয়া থানায় করা মামলায় পরিবর্তন আনে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলা ও বহিষ্কারাদেশ থেকে প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম জুবায়ের আহমেদ। তিনি ইতিহাস বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আর ফার্মেসি বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে সাময়িক বহিষ্কার ও মামলায় আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে আশুলিয়া থানায় করা মামলায় প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক (বহিষ্কৃত) আহসান লাবিবকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। সেটি পরিবর্তন করে তাঁকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আটজনকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি তাঁদের নামে একটি মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত সেখানে জুবায়ের আহমেদের নাম চলে আসে। সেটি সংশোধন করার পাশাপাশি তাঁর জায়গায় ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

আসামিদের ক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যাঁদের বহিষ্কার করা হয়, তাঁদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ক্রমিকভাবে বহিষ্কারের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই বহিষ্কারাদেশের তালিকা অনুযায়ী মামলা করতে বলা হয়। তবে যিনি মামলা করেছেন তাঁর টাইপিং মিসটেকের কারণে ৮ নম্বরে থাকা আহসান লাবিবের নাম ১ নম্বরে চলে আসে। সেটিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) সোহেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন; কিন্তু তাঁদের কাছে মামলার অনুলিপি পৌঁছালে ব্যত্যয় লক্ষ্য করেন। সেখানে কোনো গাফিলতি বা অদক্ষতা ছিল কি না, ইচ্ছাকৃত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।