আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির ইচ্ছা বিএনপির নেই: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির ইচ্ছা বিএনপির নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এই আন্দোলনের কৃতিত্ব আমরা বাংলাদেশের সবাইকে দিতে চাই।’
আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মধ্যেই সব সংস্কার কর্মসূচি আছে। তাই রাষ্ট্র সংস্কার করার সময় মাথায় রাখতে হবে, যাতে শেখ হাসিনার মতো আরেকটা দৈত্য তৈরি না হয়। এ জন্য ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং পঙ্গু হয়েছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা দেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন। সারা দেশে নেতা-কর্মীদের এত ত্যাগের পর বিএনপি একটি পরিণত রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে বিএনপি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল, সেই শক্তিকে ভালো কাজে লাগাতে হবে। জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছরে আমাদের নেতারা পুলিশের হাতে জেলখানায় চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। বিএনপির ৬০ লাখের অধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে গত ১৭ বছর লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত আগস্ট ৫ আমরা সবাই মিলে এই আন্দোলনকে সফল করেছি। এই আন্দোলন দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলন। সুতরাং আন্দোলনে কার কতটুকু কৃতিত্ব এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করার ইচ্ছা বিএনপির নেই। এই আন্দোলনের কৃতিত্ব আমরা বাংলাদেশের সবাইকে দিতে চাই।’
উলিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব, বিএনপির চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রেশমা সুলতানা, জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাসান জোবায়ের প্রমুখ বক্তব্য দেন। জনসভায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।