এক বছর ‘বন্দী’ থাকার পর মুক্তি পেল ৯টি ছাগল
বরিশালে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক নয়টি ছাগল এক বছর পর মুক্তি পেয়েছে। নতুন মেয়র হিসেবে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ছাগলগুলোর মালিক রাজিব শাহরিয়ারের কাছে হস্তান্তর করেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
রাজিব শাহরিয়ারের দাবি, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বরিশাল মুসলিম কবরস্থানে ঢুকে ঘাস ও লতাপাতা খাওয়ার অভিযোগে তাঁর ১৫টি ছাগল আটক করে সিটি কর্তৃপক্ষ। যদিও ফেরত দেওয়া হয়েছে মাত্র নয়টি। রাজিব নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাজিব শাহরিয়ার বলেন, গত বছর অসাবধানতাবশত তাঁর খামারের ছাগলগুলো কবরস্থানে ঢুকে ঘাস ও লতাপাতা খায়। খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নির্দেশে তাঁর ১৫টি ছাগল আটক করে নিয়ে যায়। ছাগলগুলো ফিরে পেতে সিটি করপোরেশনে বারবার আবেদন করলেও বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন তা ফেরত দেয়নি। ছাগলগুলো সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন খোঁয়াড়ে আটক ছিল।
নিয়ম লঙ্ঘন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছাগলগুলো প্রায় এক বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন রাজিব শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘আমার ১৫টি ছাগল আটক করা হয়েছিল। আমি জানতে পারি, এক বছরে ছাগলগুলো নয়টি বাচ্চা দিয়েছিল। ফলে ছাগলের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪টিতে। কিন্তু আমার কাছে ছাগল হস্তান্তর করা হয়েছে মাত্র নয়টি। বাকি ছাগলগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেগুলো মারা গেছে।’
রাজিব অভিযোগ করে বলেন, ‘যে নয়টি ছাগল ফেরত দিয়েছে, সেগুলোর অবস্থাও করুণ। ঠিকমতো পরিচর্যার অভাবে হাড্ডিসার অবস্থা হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন খামারে ছাগল না থাকায় খামারের অবস্থাও করুণ। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি আমার সব কটি ছাগল ফেরত চাই। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়রের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার নয়টি ছাগল ফেরত দিয়েছি। তবে আমরা এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশনের পঞ্চম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নবনির্বাচিত মেয়রের নির্দেশেই এক বছর পর মালিককে ছাগলগুলো ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।