রাজশাহী মেডিকেল থেকে নবজাতক চুরি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বুধবার বিকেলে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নবজাতকের নানা ও নানি নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে তাঁদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় সারা রাত আটকে রাখা হয়েছে।
নবজাতকের বাবার নাম মো. সুমন মিয়া। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগাছা থানার তাম্বুলপুর গ্রামে। সুমনের স্ত্রীর নাম মোছা. মনি খাতুন। তাঁর বাবার বাড়ি ঈশ্বরদীর গোকুলনগর গ্রামে। প্রসবব্যথা হলে মনিকে ৪ অক্টোবর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার মনি খাতুন একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নবজাতকের জন্মের পর স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় কম ওজনজনিত সমস্যায় ওই দিনই তাকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল অজ্ঞাত এক নারী মাস্ক পরে নবজাতকের মায়ের কাছে সন্তানের ভালো–মন্দ বিষয়ে খোঁজ নেন। তখন নবজাতকের মা তাঁর সন্তানের বিষয়ে বিস্তারিত ওই নারীকে বলেন। ওই নারী তাঁকে আশ্বস্ত করেন, আরেকটি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসক আছেন। তাঁকে দেখালে তাঁর সন্তান সুস্থ হয়ে যাবে। এ কথা শুনে মনির মা রুমি বেগম ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
নবজাতকের মা মনি খাতুন বলেন, ওই নারী তাঁর মাকে ভয় না পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দাবি করেন ওই নারী। বলেন, তাঁরা বাচ্চাদের চিকিৎসা দেন এবং টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। গতকাল বিকেল চারটার দিকে তাঁর মা নবজাতককে কোলে নিয়ে বাইরে বাতাসে নিয়ে যান। এর পর থেকে মনি তাঁর সন্তানের খোঁজ পাচ্ছেন না।
গতকাল রাতে নবজাতকের নানা হাসান আলী ও নানি রুমি বেগম নগরের রাজপাড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করতে যান। তাঁদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাঁদের আটক রাখে।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজ বৃহস্পতিবার বলেন, আটকের বিষয়টি সে রকম না। তাঁদের কথাবার্তা সন্দেহজনক ছিল। ওই নারীর কাছ থেকে তাঁরা কিছু টাকাও নিয়েছেন। সব মিলিয়ে শিশুর বাবা এলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ জন্য নানা–নানিকে থানায় রাখা হয়েছে।