ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়েরও মৃত্যু

লাশ আমতলী থানায় নেওয়া হচ্ছে। রোববার সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার ডাক্তারবাড়ি এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

অ্যাম্বুলেন্সে করে ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়েরও মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অপর এক মোটরসাইকেল আরোহীও মারা গেছেন। আজ রোববার সকাল সাতটার দিকে বরগুনার আমতলী উপজেলার ডাক্তারবাড়ি এলাকায় বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন হলেন মোটরসাইকেল আরোহী রুবেল শিকদার (৩২) ও অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী পুষ্প বেগম (৬৫)। রুবেল শিকদারের বাড়ি আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে। আর পুষ্প বেগমের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গন্ডামারি গ্রামে। তিনি তাঁর ছেলে আলম হাওলাদারের মরদেহ নিয়ে বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল থেকে পুষ্প বেগম তাঁর ছেলে আলম হাওলাদারের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গন্ডামারি গ্রামে যাচ্ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি আমতলীর ডাক্তারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে আমতলী থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রুবেল শিকদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সচালক নিয়ন্ত্রণ হারান। মুহূর্তের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করেন। পরে পুষ্প বেগম মারা যান। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

পুষ্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, ‘আমার ভাগনে আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। ভাগনের লাশ নিয়ে আমার বোন পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিল। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বোনও মারা গেল।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহসহ মোট তিনটি মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।