চট্টগ্রামে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা, আহত ১০

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসে হামলা করা হয়। আজ রাত ৯টায় চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসে হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত নয়টায় চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থী বহনকারী চুয়েটের সাঙ্গু নামের বাসটি চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট টার্মিনালের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল। বাস ছাড়ার মুহূর্তে ২০ সদস্যের ছাত্রলীগের একটি দল বাসটিকে আটকায়। এ সময় তাঁদের পাঁচজন বাসে ঢুকে নারী শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন এবং তিনজন শিক্ষার্থীর হাতে থাকা মুঠোফোন কেড়ে নেন।

হামলার শিকার চুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কণিকা আক্তার কান্নারত কণ্ঠে বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাত্রলীগের পাঁচ-সাতজন আমাদের বাসে উঠে সামনের দিকে আমাদের মেয়েদের লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। এ সময় আমার হাতে থাকা মুঠোফোন তাঁদের একজন কেড়ে নেন।’

বাসে থাকা চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ বলেন, ‘পাঁচ–ছয়টি মোটরবাইকে এসে তারা আমাদের বাস থামায়। পরে পাঁচ–সাতজন লাঠি নিয়ে উঠেই আমাদের মারতে শুরু করে। এ সময় তাদের কয়েকজন বাসের সামনের দিকে থাকা আমাদের বোনদের গায়ে হাত তোলে। প্রায় ১০ মিনিট আটকে রাখার পর তারা বাস ছেড়ে দেয় তবে মুঠোফোনগুলো নিয়ে যায়।’

বহদ্দারহাট টার্মিনাল এলাকাটি চান্দগাঁও থানাধীন। জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নুরুন নবী প্রথম আলোকে বলেন, চুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর কারা হামলা চালিয়েছেন, তা তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে আমরা জেনেছি। এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব।’