রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি
একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল বুধবার রাতে নগরের মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই কর্মকর্তা।
অভিযোগকারী ওই কর্মকর্তার নাম মো. রেজাউল করিম হাওলাদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উপরেজিস্ট্রার পদে কর্মরত আছেন।
রেজাউল করিম জিডিতে উল্লেখ করেন, একটি কাজে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিভাগের অফিসে যান মুসতাক আহমেদের স্ত্রী নুসরাত পারভীন শান্তা। মুসতাক আহমেদ বিভাগ থেকে যে টাকাপয়সা নিয়েছেন, সেগুলোর সমন্বয় বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁকে সব জমার তালিকাসহ রসিদের ফটোকপি সংযুক্ত করে সভাপতি বরাবর জমা করতে বা পাঠাতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ল্যান্ডফোনে একটি কল আসে। সেটি রিসিভ করতেই ফোনের অপর প্রান্ত থেকে রেজাউল করিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর প্রাণনাশের হুমকি দেন মুসতাক আহমেদ।
জানতে চাইলে রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগ থেকে যে টাকাপয়সা নিয়েছেন, সেগুলো তিনি আমাকে সমন্বয় করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি তা করতে রাজি না হওয়ায় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। আমি কীভাবে কাজলায় থাকি, তিনি তা দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। জীবনের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছি।’
অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে মুসতাক আহমেদ বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার একাডেমিক অবস্থান ও সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভাগের অভ্যন্তরীণ কিছু ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছেন। আমি সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরের তিন মাস পর পর্যন্ত কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি এগুলো করে যাচ্ছেন।’
অভিযোগপত্র পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগটির স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।