আঠাযুক্ত বাঁশ দিয়ে টিয়া পাখি ধরে বিক্রি করছিলেন, ৬ মাসের কারাদণ্ড

রাউজানের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধার করা খাঁচাভর্তি ২১টি টিয়া পাখি অবমুক্ত করা হয়ছবি: সংগৃহীত

ফসলের মাঠে আঠাযুক্ত বাঁশ পুঁতে রাখা হয়। সেখানে বসছিল ঝাঁক বেঁধে টিয়া। আর আটকে যাচ্ছিল আঠায়। রাউজানের বিভিন্ন স্থান থেকে এভাবে টিয়া পাখি ধরে বিক্রি করছিলেন দুজন। আজ বুধবার দুপুরে রাউজানের নোয়াপাড়ায় খাঁচাভর্তি ২১টি টিয়া পাখিসহ এই দুই ব্যক্তিকে আটক করে বন বিভাগ। পরে দুজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই দুজন হলেন পলাশ কুমার ব্যাধ (৪৮) ও শিপন চন্দ্র ব্যাধ (৫০)। প্রথমজনের বাড়ি ঝিনাইদহের কয়রাগাছি এলাকায়। দ্বিতীয়জন চুয়াডাঙ্গার অমলডাঙ্গার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এই অভিযান চালায়। পরে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অং চিং মারমা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বন বিভাগের সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে রাউজানের নোয়াপাড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁরা খাঁচাভর্তি টিয়া পাখি বিক্রি করছিলেন। সঙ্গে ছিল পাখি ধরার আঠাযুক্ত বাঁশ। বাঁশ ও পাখি জব্দ করা হয়।

বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, তাঁরা আঠাযুক্ত বাঁশ দিয়ে পাখি ধরে তা বিক্রি করছিলেন। বন বিভাগের অভিযানের পর রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২১টি টিয়া পাখি রাউজান উপজেলা কার্যালয় আঙিনায় অবমুক্ত করা হয়েছে।