মিটন চাকমাকে হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিটন চাকমাকে হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাটা পাহাড় সড়ক ও শহীদ মিনার ঘুরে পুনরায় জিরো পয়েন্টে শেষ হয়।
গত রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে মিটন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফের সংগঠক ছিলেন।
মিছিল শেষে জিরো পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা এ সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমার সঞ্চালনায় এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘মিটন চাকমা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। ক্যাম্পাসে নির্বিচার গাছকাটা বন্ধ, চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল বন্ধ আন্দোলন, ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ পাহাড় ও জাতীয় বিভিন্ন বিষয়ে সরব ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চাপ ও হেনস্তার মুখেও তিনি দমে যাননি। পড়াশোনা শেষে নিজ আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে পাহাড়ে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করছিলেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জোর দাবি জানাই।’
রোনাল চাকমা বলেন, পড়াশোনা শেষ করে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফ এ যোগ দেন মিটন চাকমা। ব্যক্তিজীবনে মিটন চাকমা খুবই অমায়িক ও ভদ্র ছিলেন। সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। অথচ মিটন চাকমার মতো সম্ভাবনাময় নেতৃত্বকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পাহাড়ের দোসরেরা হত্যা করেছেন। ছাত্র-জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় তাঁরা খুনি হাসিনার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্দোলনকারীদের নব্য রাজাকার বলেছিলেন।