স্ত্রীর স্বর্ণালংকার নিতে বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ইটের আঘাতে হত্যা
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীর স্বর্ণালংকার নিতে বাধা দেওয়ার দুর্বৃত্তদের হামলায় এক ওষুধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় দিকে উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড মসজিদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম হাসিবুল ইসলাম ওরফে বাদশা (৪০)। তিনি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলোহার গ্রামের বাসিন্দা। তবে শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড মসজিদ মোড় এলাকায় শ্বশুর মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে থাকতেন। সেখানে তাঁর একটি ওষুধের দোকান আছে।
ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মো. রুবেল কেওয়া পশ্চিমখণ্ড মসজিদ মোড় এলাকার বাসিন্দা। আটক ব্যক্তিরা হলেন রুবেলের ভাই অন্তর ও মো. রোমান। তাঁদের বাড়িও একই এলাকায়।
ঘটনার বর্ণনায় হাসিবুলের শ্যালক আবু হানিফ বলেন, তিনি, হাসিবুল, তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তান মিলে একটি প্রাইভেট কারে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে কেওয়া পশ্চিমখণ্ড মসজিদ মোড় এলাকার তাঁদের বাড়ির সামনে গিয়ে গাড়ি থামানো হয়। এ সময় সেখান থেকে নেমে বাইরে দাঁড়ান হাসিবুলের স্ত্রী ও অন্যরা। হাসিবুল ঘরের চাবি আনতে বাড়ির অদূরে তাঁর দোকানের দিকে গেলে হঠাৎ ৮ থেকে ১০ জন তরুণ-যুবকের দল সেখানে উপস্থিত হয়। তারা জোর করে হাসিবুলের স্ত্রীর শরীর থেকে স্বর্ণালংকার খুলে নেয়। তখন বাধা দিলে সেখানে উপস্থিত একজনকে আঘাত করে দুর্বৃত্ত দলের সদস্যরা। এ সময় দোকান থেকে চাবি নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে হামলাকারীদের মধ্যে মো. রুবেল নামের এক ব্যক্তিকে চিনে ফেলেন হাসিবুল। রুবেলের নাম ধরে ডেকে তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন হাসিবুল। একপর্যায়ে রুবেলসহ অন্যরা ইট দিয়ে হাসিবুলের শরীরে আঘাত করেন। জখম হয়ে হাসিবুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে একই গাড়িতে করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৮ মার্চ একই এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ওই এলাকার বাসিন্দা মো. সিহাব আহত হন। প্রতি রাতে ওই সড়কে মোটরসাইকেলে মহড়া দেয় কিশোর ও তরুণদের কয়েকটি দল।
হাসিবুলের মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে।