কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে তরুণের মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতফাইল ছবি প্রথম আলো

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টের কাছে আজ রোববার বিকেলে গোসলে নেমে মো. সায়মন (২০) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় সায়মনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বেসরকারি সি-সেফ লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি বলেন, আজ বিকেল চারটার দিকে সৈকতের সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের মাঝামাঝি এলাকায় দুই বন্ধুকে নিয়ে গোসলে নামেন সায়মন। তিনজন টিউব নিয়েই গোসলে নামেন। একপর্যায়ে বড় একটি ঢেউয়ের ধাক্কায় সায়মন টিউব থেকে ছিটকে পড়েন এবং গভীর সাগরের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। তখন দুই বন্ধুর চিৎকারে স্থানীয় লাইফগার্ডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমুদ্রে তল্লাশি শুরু করেন।

লাইফগার্ডের কর্মীরা বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে কলাতলী পয়েন্ট সাগরে সায়মনকে পানিতে ভাসতে দেখা যায়। এরপর লাইফগার্ড দল তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ বলেন, বৈরী পরিবেশ এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কয়েক দিন ধরে উত্তাল রয়েছে। ঢেউগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে আট-নয় ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। তা ছাড়া সমুদ্রের তলে বেশ কয়েকটি এলাকায় গুপ্ত খাল ও বড় বড় গর্ত রয়েছে। সাঁতার না জানা কেউ টিউবে গা ভাসিয়ে গভীরে চলে গেলে কিংবা ঢেউয়ের ধাক্কায় কেউ ছিটকে পড়লে বিপদে পড়েন। তখন তলদেশের গর্তে কিংবা খালে আটকা পড়লে উদ্ধার করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সমুদ্রের পানিতে নামার আগে লাল নিশানা দেখে গোসলে নামা উচিত।