রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি যাঁরা করার তাঁরা করবেন। কিন্তু জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীর আমরা যারা আছি, আমরা প্রস্তুত আছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। কেউ জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তাব্যবস্থার হুমকি সৃষ্টি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা অনুভব করছি না। তবে আমরা সবকিছু বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তাব্যবস্থা রেখেছি। আমরা যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা কোনো আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না। আমরা সব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
আইজিপি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই তাঁদের পাশে আছে। হিন্দুধর্মাবলম্বী ভাই যাঁরা আছেন, তাঁরা সুন্দরভাবে যাতে তাঁদের ধর্মীয় উৎসব উদ্যাপন করতে পারেন—একাত্মতা প্রকাশ করতেই আমরা এখানে এসেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মণ্ডপে পরিদর্শন করে তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা নিরাপদে ধর্মীয় উৎসব পালন করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
গতবারের মতো সুন্দরভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আইজিপি বলেন, ‘আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আপনাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’
এ সময় আইজিপির সঙ্গে ঢাকা রেঞ্জের মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার গোলাম রাসেল, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে আইজিপি শহরের বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।